,

জগন্নাথপুরে বোরো ধান আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা

শাহ এস.এম ফরিদ ॥ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার হাওরে বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত চারা সংগ্রহ, হালচাষ, মই, সেচ, রোপণ কাজে মাঠে থাকছেন চাষীরা। কৃষকরা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশী ধানের চেয়ে প্রাধান্য দিচ্ছেন হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল ধানকে। বিগত বোরো ও আমন মৌসমে ধানের বাম্পার ফলন ঘরে তোলায় এবার বেশ ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে বোরো আবাদে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কৃষকরা। জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ২০ হাজার ১শ’৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের হাওরে  প্রায় ৫ হাজার হেক্টর বোরো ধানের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। গন্ধর্ব্বপুর গ্রামের চাষী হাজী এখলাছুর রহমান আখলই জানান, হাওরে কৃষকরা চারা রোপণে ব্যস্ত। পানির সংকট থাকায় জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। এবারের বোরো মৌসুমে বিদেশি ধান বেশি রোপণ করা হচ্ছে। প্রকৃতির সহায় হলে গত বছরের মতো হাওরের ফসল ভালো হবে বলে জানান তিনি। তবে গত বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন হওয়ায় এখানকার কৃষকরা আবারও বোরো আবাদে মাঠে কোমরবেঁধে নেমেছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাওরে পানি ও সেচ সমস্যার কথা জানিয়ে তারা বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করেছে। অন্যান্য সময়ের মতো এবারও এখানকার পানি সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসলে এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি দাবী করেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুনদার জানান, এখানকার কৃষকরা গত বছর ফসলের ভাল ফলন ও দাম পেয়েছেন। তাই চলতি মৌসুমে অনেকটা আগেভাগেই বোরো চাষে পুরো প্রস্ততি নিয়ে মাঠে নেমেছেন। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে ধানের চারা লাগানো শেষ হয়েছে। আমরা এ বছর বোরো আবাদের ও নতুন জাত সম্প্রসারনের জন্য ৩৫০জন কৃষককে প্রণোদনা সুবিধার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করেছি। এছাড়াও আমাদের বিভাগীয় পদর্শনীর আওতায় ২০জন কৃষকে বিনামুল্যে বীজ সার ও অনান্য উপকরণ বিতরণ করেছি। তাছাড়াও আমাদের পরামর্শ সেবা অব্যাহত আছে আমরা ধান কর্তনের শেষ পর্ষন্ত কৃষকদের সাথে থেকে পরামর্শ সেবা অব্যাহত রেখে যাতে ভাল ফলন তুলে আনা যায় সেজন্য কাজ করে যাচ্ছি। কৃষকরা যাতে নিরাপদের ধান তুলতে পারে সেজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ সবগুলো দপ্তরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছি। এবারও ল্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর